যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বিভিন্ন ভবন, গবেষণাগার, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তৈরি বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজাগরল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগ ও সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা সুইসকনট্যাক্টের যৌথ আমন্ত্রণে তিনি যবিপ্রবি পরিদর্শনে আসেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সড়কপথে পদ্মা সেতু হয়ে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত ও তাঁর সফরসঙ্গীরা যবিপ্রবি পরিদর্শনে আসেন। যবিপ্রবিতে এসে পৌঁছালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক-কর্মকর্তারা তাঁদেরকে স্বাগত জানান।
বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে যবিপ্রবি উপাচার্যের কার্যালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সুুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষা ও গবেষণা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করে তুলতে অত্যাধুনিক গবেষণাগার গড়ে তোলা হয়েছে।
আপনার দেশের সহযোগিতা পেলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা আরও এগিয়ে যাবে। বর্তমানে যবিপ্রবির ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ স্থানীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে এ বিভাগটি ভারী শিল্পের যন্ত্রপাতি তৈরিতেও সক্ষমতা অর্জন করবে।
বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবন ও গবেষণাগার পরিদর্শনে যান বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনে পৌঁছালে সেখানে তিনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের তৈরি ‘রয়েল প্লাগ’, ‘বাম্প রাবার অব মোটরসাইকেল’, ‘পিভিসি পাইপ জয়েন্ট’ ও ‘ব্রেক প্যাডেল’ তৈরির ডাইস এবং অটোমেটেড প্লান্ট ওয়াটার ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম’ এবং ‘সলিড ফার্টিলাইজার স্প্রেডার মেশিন’সহ নানা প্রকল্প ঘুরে দেখেন।
পরবর্তীতে তিনি আইপিই বিভাগের অত্যাধুনিক বিভিন্ন ল্যাব ও ওয়ার্কশপ পরিদর্শন করেন। যবিপ্রবির শিক্ষা ও গবেষণায় উন্নয়ন দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত। একইসঙ্গে যবিপ্রবির শিক্ষা ও গবেষণায় তাঁর দেশের সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আব্দুল মজিদ, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, আইপিই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ এস এম মুজাহিদুল হক, পরিচালক (পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত) পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, সুইসকনট্যাক্টের টিম লিডার মার্কাস এনহ্যাম, কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল সেজান, সিনিয়র ম্যানেজার মেহজাবিন আহমেদ, ম্যানেজার রুখেন আজাদ, আইপিই বিভাগের শিক্ষক ড. রুবাইয়েত করিম, ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন, ড. মো. মাহফুজুর রহমান, মো. তৌহিদুজ্জামান, এস এম তাজিম আহমেদ, রাকেশ রায়, সম্রাট কুমার দে প্রমুখ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।